ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায়

ডায়াবেটিস কি?

ডায়াবেটিস হল একটি দীর্ঘমেয়াদী (ক্রনিক) রোগ, যা শরীরের রক্তে শর্করার (গ্লুকোজ) মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে ঘটে। এটি মূলত তখন ঘটে যখন শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না, অথবা শরীরের কোষগুলো ইনসুলিনের প্রতি সঠিকভাবে সাড়া দেয় না। ইনসুলিন হলো একটি হরমোন যা অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হয় এবং রক্তের শর্করাকে কোষে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের প্রধান ধরণ দুটি: টাইপ ১ ডায়াবেটিস: যেখানে শরীর কোনো ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। টাইপ ২ ডায়াবেটিস: যেখানে শরীর ইনসুলিন তৈরি করলেও তা যথাযথভাবে কাজ করে না (ইনসুলিন রেজিস্টেন্স)। এছাড়া গর্ভকালীন ডায়াবেটিসও রয়েছে, যা গর্ভাবস্থায় দেখা যায় এবং সন্তান জন্মের পর প্রায়ই চলে যায়।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডায়াবেটিসের পরিসংখ্যান

বাংলাদেশে ডায়াবেটিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডায়াবেটিস একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো: বাংলাদেশে প্রতি ৮ জনের মধ্যে একজন ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর তথ্য মতে, প্রতি বছর এই সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর প্রায় ৮-১০% মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। শহরাঞ্চলে এই হার বেশি দেখা যায়, বিশেষত খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার ধরনে পরিবর্তন হওয়ার কারণে। বাংলাদেশে আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। টাইপ ১ ডায়াবেটিস তুলনামূলকভাবে কম। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের (IDF) তথ্য অনুযায়ী, ২০৪৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে। বাংলাদেশে গর্ভবতী নারীদের মধ্যে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের হারও বাড়ছে, যা গর্ভাবস্থায় শর্করার নিয়ন্ত্রণহীনতার কারণে হয়। এই পরিসংখ্যানগুলো থেকে বোঝা যায়, ডায়াবেটিস বাংলাদেশে একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, এবং এটির প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ এবং সতর্কতা

ডায়াবেটিস একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি শরীরের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। ডায়াবেটিসের লক্ষণ কী কী জানা গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিসের প্রধান লক্ষণগুলি হল:

  • বারবার প্রস্রাবের বেগ আসা: বিশেষ করে রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব করার প্রয়োজন অনুভব করা।
  • অতিরিক্ত তৃষ্ণা: প্রচুর পানি পান করার পরেও তৃষ্ণা অনুভব করা।
  • অতিরিক্ত ক্ষুধা: খাওয়ার পরেও ক্ষুধার্ত থাকা।
  • অকারণ ওজন হ্রাস: কোনো চেষ্টা না করেও ওজন কমে যাওয়া, বিশেষ করে টাইপ ১ ডায়াবেটিসে।
  • অস্বাভাবিক ক্লান্তি: সারাক্ষণ ক্লান্ত বা দুর্বল অনুভব করা।

এছাড়াও  এটি মাথাব্যথাদুর্বলতাক্লান্তি এবং ত্বক সংক্রমণ সৃষ্টি করে।

এসব লক্ষণ দেখা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই জরুরী হয়ে পড়ে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিস যদি নিয়ন্ত্রণ না করা যায়, তাহলে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায়

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ২টি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস পরিবর্তন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব হয়। ১। খাদ্যাভ্যাস এবং ২। শারীরিক সক্রিয়তা বৃদ্ধি (অর্থাৎ ব্যায়াম)।

ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়?

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায়

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খাদ্য পরিকল্পনা

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খাদ্য পরিকল্পনা করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে:

. সকালে নাস্তা:

  • ডিমের সাদা অংশ: প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং শর্করা কম।
  • ওটস: ফাইবারে পূর্ণ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • গ্রিন টি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এবং ক্যালরি কম।

. দুপুরের খাবার:

  • বাদামি চালের ভাত: সাধারণ চালের থেকে বেশি ফাইবার এবং কম শর্করা।
  • সবুজ শাকসবজি: যেমন পালং শাক, মিষ্টি কুমড়ো, যা কম ক্যালরি এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর।
  • মাছ (রুই/ইলিশ): ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

. বিকালের খাবার:

  • বাদাম: মুট্টো বাদাম বা কাঠবাদাম প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সরবরাহ করে।
  • ফল: যেমন আপেল বা পেয়ারা, যা শর্করা কম এবং ফাইবার বেশি।

. রাতের খাবার:

  • মুরগির মাংস (গ্রিল বা সেদ্ধ): প্রোটিনের একটি ভালো উৎস, যা শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • সবজি স্যুপ: ব্রোকলি, বাঁধাকপি এবং গাজর সমৃদ্ধ, যা শর্করা কম রাখে।

. অতিরিক্ত টিপস:

  • প্রতি তিন ঘণ্টা অন্তর খাবার খান
  • প্রচুর পানি পান করুন
  • রিফাইন্ড শর্করা (মিষ্টি খাবার, সাদা রুটি) পরিহার করুন
  • স্বল্প গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) সম্পন্ন খাবার বেছে নিন

এভাবে সুষম খাদ্য গ্রহণ করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।

শারীরিক সক্রিয়তা বৃদ্ধি (অর্থাৎ ব্যায়াম)

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য শারীরিক সক্রিয়তা বাড়ানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি রোগীকে ওজন কমাতে, এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। নিচে কিছু কার্যকর শারীরিক সক্রিয়তার নিয়ম উল্লেখ করা হলো:

. নিয়মিত হাঁটাহাঁটি:

  • প্রতিদিন ৩০-৪৫ মিনিটের হাঁটাহাঁটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • সকালে বা বিকেলে হাঁটা সবচেয়ে ভালো, কারণ এটি সহজে শুরু করা যায় এবং শরীরে কোনো অতিরিক্ত চাপ দেয় না।

. কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম:

  • সাইক্লিং: বাড়িতে বা বাইরের পরিবেশে সাইক্লিং করা রক্ত প্রবাহ এবং হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
  • সাঁতার: এটি শরীরের সব পেশি ব্যবহৃত হয় এবং এটি যৌথ স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।

. ওজন প্রশিক্ষণ:

  • হালকা ওজন উত্তোলন বা ব্যান্ডের সাহায্যে পেশী শক্তি বাড়ানো যায়, যা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে।
  • প্রতি সপ্তাহে ২-৩ দিন ওজন প্রশিক্ষণ করলে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়।

. যোগব্যায়াম এবং স্ট্রেচিং:

  • যোগব্যায়াম স্ট্রেস হ্রাস এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক, যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট যোগ বা স্ট্রেচিং ব্যায়াম করলে শরীর নমনীয় থাকে এবং মানসিক প্রশান্তি আসে।

. অন্তর্বর্তীকালীন ব্যায়াম (HIIT):

  • এই ধরণের ব্যায়ামে কিছু সময়ের জন্য উচ্চ-তীব্রতা ব্যায়াম করা হয়, তারপর বিশ্রাম নেওয়া হয়।
  • HIIT শরীরে দ্রুত ক্যালরি বার্ন করে এবং রক্তে শর্করা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে।

. প্রতিদিনের জীবনধারায় শারীরিক কাজ যুক্ত করা:

  • সিঁড়ি ব্যবহার করুন, লিফট এড়িয়ে চলুন।
  • কাজের মাঝে কিছুক্ষণ পর পর উঠে দাঁড়ান এবং হাঁটুন।
  • ঘর পরিষ্কার, গাছ লাগানো ইত্যাদি কাজেও সক্রিয় থাকার চেষ্টা করুন।

. পানি পানের সঙ্গে ব্যায়াম:

  • শারীরিক সক্রিয়তার সময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে, কারণ শরীরের পানিশূন্যতা রক্তে শর্করা বাড়াতে পারে।

. ব্যায়ামের পরিকল্পনা ধৈর্য:

  • যেকোনো নতুন ব্যায়াম শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • হালকা থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে ব্যায়ামের সময় এবং মাত্রা বাড়ান।

এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে ডায়াবেটিস রোগীরা সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন।

ইনসুলিন কি?

ইনসুলিন হল একটি হরমোন। এটি রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ইনসুলিন গ্রহণ করা খুবি গুরুত্বপূর্ণ। এটা তাদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ইনসুলিন সঠিকভাবে ব্যবহার করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা নিচের চিত্রটির মাধ্যমে ভালো করে বোঝা যায়।

ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়?

  • টাইপ ডায়াবেটিস: শরীরে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন উৎপন্ন না হলে প্রতিদিন ইনসুলিন ইনজেকশন দেওয়া প্রয়োজন।
  • টাইপ ডায়াবেটিস: যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকে এবং অন্যান্য ওষুধ কাজ না করে, তখন ইনসুলিন প্রয়োজন হতে পারে।
  • গর্ভকালীন ডায়াবেটিস: গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে ইনসুলিন নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে।
  • অত্যধিক রক্তে শর্করা: যদি রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক বেশি হয় এবং খাদ্যাভ্যাস ও ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না হয়, তখন ইনসুলিন নিতে হবে।

ইনসুলিন দেওয়ার নিয়ম

  • সঠিক স্থান নির্বাচন: ইনসুলিন সাধারণত পেট, উরু, বাহু বা নিতম্বের নিচের অংশে দেওয়া হয়। প্রতিবার একই জায়গায় ইনসুলিন না দিয়ে স্থান পরিবর্তন করা উচিত।
  • সুই এবং সিরিঞ্জ পরিষ্কার রাখা: ইনসুলিন দেওয়ার আগে হাত ধুয়ে নেওয়া এবং ব্যবহার করা যন্ত্রপাতি (সুই, সিরিঞ্জ) পরিষ্কার রাখা জরুরি।
  • ডোজ ঠিক করা: চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিদিনের ডোজ ঠিক করা উচিত। ইনসুলিনের ডোজ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে।
  • সময় মেনে ইনসুলিন নেওয়া: সাধারণত খাবারের আগে ইনসুলিন দেওয়া হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করা উচিত।
  • সঠিকভাবে ইনজেকশন দেওয়া: চামড়ার নিচে সাবকুটেনিয়াসভাবে ইনজেকশন দিতে হয়। ইনজেকশন দেওয়ার সময় সুই ৪৫ বা ৯০ ডিগ্রিতে ঢুকাতে হবে।

সাধারণত ডায়াবেটিসের মাত্রা যখন ১৬ দশমিক ৭ মিলি. এর উপরে চলে যায়, তখন ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন নেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনোই ইনসুলিন নেওয়া উচিত নয়।

ইনসুলিন প্রয়োগের পদ্ধতিসমূহ

ডায়াবেটিক রোগীরা দুটি পদ্ধতিতে ইনসুলিন প্রয়োগ করে। এগুলো হল ইনসুলিন ইনজেকশন এবং ইনসুলিন পাম্প। প্রতিটি পদ্ধতির কিছু সুবিধা আছে কিছু অসুবিধাও আছে।

  • ইনসুলিন ইনজেকশন: ইনসুলিন ইনজেকশনে ইনসুলিন গোলকের মধ্য দিয়ে বের হয়। রোগীরা দিনে একবা দুবার ইনসুলিন ইনজেকশন নিতে পারেন। এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • ইনসুলিন পাম্প: ইনসুলিন পাম্প ব্যবহারে ছোট ছোট ডোজে ইনসুলিন প্রবাহিত হয়। এটি শরীরকে নিরন্তরভাবে ইনসুলিন সরবরাহ করে। ইনসুলিন পাম্প ব্যবহার করলে ইনজেকশন করার প্রয়োজন হয় না।

 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায়

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ইনসুলিন সঠিকভাবে ব্যবহার করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা উপরের চিত্র দ্বারা স্পষ্ট হয়।

 

রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ

রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল ডায়াবেটিসের সমস্যার সাথে জড়িত। এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিসের রোগীদের রক্তচাপ সাধারণত উচ্চ থাকে। নিয়মিত পরীক্ষা এবং ঔষধ সেবন দিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

কোলেস্টেরল পর্যবেক্ষণ: কোলেস্টেরলের মাত্রা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। নিয়মিত পরীক্ষা এবং ঔষধ সেবন দিয়ে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

রোগপ্রভাবপ্রতিরোধের উপায়
উচ্চ রক্তচাপহৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগনিয়মিত পরীক্ষা, ঔষধ সেবন
উচ্চ কোলেস্টেরলহৃদরোগ, স্ট্রোকনিয়মিত পরীক্ষা, ঔষধ সেবন

নিয়মিত পরীক্ষা এবং ঔষধ সেবন দিয়ে ডায়াবেটিসের জটিলতা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং কোলেস্টেরল পর্যবেক্ষণ করা যায়। এগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খুবি গুরুত্বপূর্ণ।

 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের প্রধান প্রতিবন্ধকতা ও তার প্রতিকার সমূহ

প্রতিবন্ধকতাসমূহপ্রতিকার
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস না গ্রহণপুষ্টিকর খাবার গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তোলা
নিয়মিত শারীরিক কর্মকাণ্ডে অনিচ্ছুকতাপ্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা
ওষুধ সেবনে অনিয়মিততাচিকিৎসকের নির্দেশনা অনুসরণ করে ওষুধ নিয়মিত সেবন করা
দিন-রাতের মধ্যে রক্তে শর্করার পরিমাণ পরিমাপ করানিয়মিত রক্তে শর্করা পর্যবেক্ষণ এবং ওষুধ সেবন

এই বাধাগুলি দূর করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। ডায়াবেটিসের লক্ষণ কমে যাবে। জটিলতাও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

 পরিশেষে বলা যায় ডায়াবেটিস একটি বড় সমস্যা। এটি সঠিকভাবে চিকিৎসা না করলে বা নিয়ন্ত্রণ করা না হলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী ইনসুলিন প্রয়োগ করুন, স্বাস্থ্যকর খাবার খান, এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।

সুস্থ জীবন হোক সবার

আপনার জন্য আরো প্রবন্ধ: জৈব প্রযুক্তি কি? মানব জীবনে এর প্রভাব

 

 

Comment

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
instagram Group Join Now

সাম্প্রতিক খবর

.আরো