অ্যাপল নতুন আইফোন ১৬-এ একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। এটি হলো তাদের নিজস্ব ডিজাইনে তৈরি করা সি১ (C1) মডেম। এটি শুধুমাত্র কোয়ালকমের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়েছে তা নয়, বরং ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ কিছু উন্নত সুবিধাও এনেছে। বিশেষ করে, ব্যাটারি কর্মক্ষমতা এবং নেটওয়ার্ক ব্যবহারে এটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে।
অ্যাপলের দাবি অনুযায়ী, এই মডেম আইফোন ১৬-ই এর ব্যাটারি পারফরম্যান্সকে ২০% পর্যন্ত বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হবে। এটি আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বড় সুবিধা, বিশেষ করে যারা দীর্ঘ সময় মোবাইল ডেটা ব্যবহার করেন। এর বৈশিষ্টগুলো হলো-
১। অ্যাপলের প্রথম নিজস্ব মডেম হওয়ার কারণে এটি সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সঙ্গে ভালোভাবে কাজ করতে পারে।
২। এটি ৫জি সংযোগ ব্যবহার করলেও ব্যাটারি তাড়াতাড়ি শেষ হয় না।
৩। iOS ১৮-এর উন্নত শক্তি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে কাজ করে, যা ব্যাটারির ওপর চাপ কমিয়ে দেয়।
৪। আইফোন বুঝতে পারবে ব্যবহারকারী ঠিক কী করছে এবং কোন ডেটা বেশি জরুরি।
৫। ব্যস্ত এলাকায় বা কম নেটওয়ার্ক সিগন্যাল থাকলেও, আইফোন ব্যবহারকারীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডেটাকে অগ্রাধিকার দেবে।আগামীতে, সি১ মডেমের সাহায্যে আরও পাতলা আইফোন তৈরি করা সম্ভব হবে। এটি বিশেষ করে আসন্ন আইফোন ১৭ এয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, কারণ ব্যাটারি ক্ষমতা ঠিক রেখে সেটিকে অতিরিক্ত পাতলা করা যাবে।
মোবাইল নেটওয়ার্কে কখনো কখনো অতিরিক্ত চাপ পড়ে, বিশেষ করে যখন ব্যবহারকারীরা ব্যস্ত এলাকায় থাকেন। সাধারণত, কোয়ালকমের মডেম এই চাপ বুঝতে পারে না এবং সব ডেটা সমানভাবে পরিচালনা করে। কিন্তু অ্যাপলের নতুন সি১ মডেম এটি আরও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।
সি১ মডেমের মাধ্যমে অ্যাপল যে নতুন প্রযুক্তির দিকে এগোচ্ছে, তা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হতে পারে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানা গেছে, অ্যাপল ইতিমধ্যেই সি২ এবং সি৩ মডেমের উন্নয়নে কাজ করছে, যা ২০২৬ এবং ২০২৭ সালে বাজারে আসতে পারে।
এই নতুন মডেমের সম্ভাব্য কিছু উন্নয়ন:
১। আরও শক্তিশালী ব্যাটারি অপ্টিমাইজেশন, যা পরবর্তী প্রজন্মের মডেমগুলো আরও শক্তিশালী ব্যাটারি সঞ্চয় করতে পারবে।
২। উন্নত সিগন্যাল ক্যাপচারিং ক্ষমতা, যা দুর্বল নেটওয়ার্ক এলাকায়ও ভালো সংযোগ প্রদান করবে।
৩। বর্ধিত নিরাপত্তা, যা সাইবার হুমকি মোকাবিলায় আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে।
অ্যাপলের সি১ মডেম শুধুমাত্র একটি নতুন প্রযুক্তি নয়, বরং এটি স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি ব্যাটারি লাইফ বৃদ্ধি এবং নেটওয়ার্ক ব্যবহারের বুদ্ধিদীপ্ত সমাধান প্রদান করছে। ভবিষ্যতে অ্যাপলের এই প্রযুক্তি আরও কতটা উন্নত হবে, তা দেখার জন্য প্রযুক্তিপ্রেমীরা আগ্রহী হয়ে আছেন।
অ্যাপল তৈরি করেছে রোবট ল্যাম্প যা মানুষের মত অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে পারে