(Cybersecurity) সাইভার নিরাপত্তার গুরুত্ব পূর্ণ কিছু টিপস এন্ড ট্রিক্স: যা আপনার অবশ্যই জানা প্রয়োজন

বর্তমান সময়ে অনলাইন জগৎ ছাড়া আমাদের জীবনটা কতটা অসহায় তা আমরা কিছু দিন আগেই বুঝতে পেরেছি। যখন আমাদের ইন্টারনেট সংযোগটি সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিলো। তাই বলাই যায় এখন অনলাইন ছাড়া আমাদের জীবন চলাটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পরেছে। আর এই অনলাইন জগৎটিতেই ঘুরপাক খাচ্ছে অনেক হ্যাকাররা। যারা হ্যাকিং করে হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তাই এইসব হ্যাকারদের থেকে বাঁচার জন্যই আমাদের প্রয়োজন কিছু  নিরাপত্তা (Security) যা (Cybersecurity) সাইভার নিরাপত্তার নামে পরিচিত । আর আজ এই নিরাপত্তা নিয়ে কিছু টিপস ও ট্রিকস শেয়ার করবো আপনাদের সাথে, যা আপনার দৈনন্দিন প্রযুক্তিগত ব্যবহারের সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

হ্যাকার!

. দৃঢ় পাসওয়ার্ড তৈরি করুন: পাসওয়ার্ড যেন কমপক্ষে ১২ অক্ষরের হয়। পাসওয়ার্ডে বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ অক্ষর অন্তর্ভুক্ত করুন। একই পাসওয়ার্ড বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন।

. (Two-Factor Authentication) ব্যবহার করুন: আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি লগইনের সময় একাধিক স্তরের প্রমাণীকরণ ব্যবহার করুন। যেমন, পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি ফোনে আসা কোড দিয়ে লগইন করুন।

. পাবলিক ওয়াইফাই থেকে দূরে থাকুন: পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করলে আপনার তথ্য হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রয়োজনে ভিপিএন (VPN) ব্যবহার করুন, যা আপনার ডেটাকে এনক্রিপ্টেড রাখবে।

. নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করুন: আপনার অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাউজার এবং অন্যান্য সফটওয়্যারগুলো নিয়মিত আপডেট রাখুন।
এতে সুরক্ষার ফাঁকগুলো বন্ধ থাকবে এবং আপনার ডিভাইস নিরাপদ থাকবে।
. ফিশিং ই-মেইল থেকে সাবধান থাকুন: সন্দেহজনক ইমেইল বা মেসেজে ক্লিক করবেন না। ব্যাংক বা সরকারি সংস্থা কখনোই ইমেইলের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য চায় না। তাই এসব বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

. ব্যাকআপ নিতে ভুলবেন না: আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডেটা নিয়মিত ব্যাকআপ নিয়ে রাখুন, যাতে কোনো সমস্যা হলে তা পুনরুদ্ধার করা যায়।

. ব্রাউজারেঅটোফিলফিচার বন্ধ রাখুন: ব্রাউজারের ‘অটো-ফিল’ ফিচার আপনার সংরক্ষিত পাসওয়ার্ড বা ব্যক্তিগত তথ্য ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। এটি বন্ধ রাখুন।

৮. সোশ্যাল মিডিয়াতে সতর্কতা: সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যক্তিগত তথ্য যেমন লোকেশন, ফোন নম্বর, ই-মেইল প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকুন। প্রাইভেসি সেটিংস চেক করুন এবং শুধু বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের সাথে তথ্য শেয়ার করুন।

৯. ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা: জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টের ডিজিটাল কপি এনক্রিপ্ট করে রাখুন। অযথা কোথাও আপনার ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না।

১০. ডিভাইস ট্র্যাকিং অ্যাপ: আপনার মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপের জন্য ট্র্যাকিং অ্যাপ ব্যবহার করুন যাতে হারিয়ে গেলে সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। অ্যাপটি সক্রিয় করুন এবং ডিভাইসের লোকেশন ট্র্যাক করতে পারবেন এমন ফিচারগুলো চালু রাখুন।

১১. সামাজিক সচেতনতা: অপরিচিত কারও কাছ থেকে সাহায্য চাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন, বিশেষ করে অনলাইন মাধ্যমে। সামাজিক পরিবেশে নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিন এবং সন্দেহজনক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ সীমিত রাখুন।

আসা করি এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে আপনার অনলাইন নিরাপত্তা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।

Comment

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
instagram Group Join Now

সাম্প্রতিক খবর

.আরো