বাংলাদেশে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৪-এর আয়োজন শেষ হয়েছে শনিবার রাতে। দেশের নয়টি শহরে অনুষ্ঠিত ৩৬ ঘণ্টার হ্যাকাথন থেকে ২৭টি দল নির্বাচন করা হয়েছে, যেগুলো ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে নাসার প্রধান কার্যালয়ে ফাইনাল রাউন্ডে প্রতিযোগিতা করবে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর ডেপুটি ম্যানেজার এইচএম ইমাম হাসান জানান, ডিসেম্বর মাসে ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতিযোগিতার ফলাফল জানুয়ারিতে প্রকাশিত হবে। নির্বাচিত ২৭টি দলের প্রকল্প এখন বিশ্বব্যাপী অন্যান্য প্রকল্পের সাথে প্রতিযোগিতা করবে।
এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নাসা বিশ্বের ১৮৫টি দেশের টেকনোলজিস্ট, বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, শিল্পী, শিক্ষাবিদ এবং উদ্যোক্তাদের একত্রিত করে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করতে চায়। এই উদ্যোগে সামাজিক মাধ্যমে ১০ লক্ষ শিক্ষার্থীকে যুক্ত করার এবং ২ লক্ষ শিক্ষার্থীকে সরাসরি প্রতিযোগিতায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য রয়েছে।
বাংলাদেশে এই প্রতিযোগিতা ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা শহরে অনুষ্ঠিত হয়। বেসিস ও বেসিস স্টুডেন্ট ফোরামের সহায়তায় এবারের প্রতিযোগিতা আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (AIUB)-এ শেষ হয়। বিজয়ী দলের মধ্যে ঢাকার ‘কোয়ান্টাম ভয়েজার্স’, খুলনার ‘টিম অ্যাটলাস’, এবং চট্টগ্রামের ‘আর্বান ইউটোপিয়ানস’ উল্লেখযোগ্য।
এর আগে, ২০১৮ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের “টিম অলিক” তাদের চাঁদের ভার্চুয়াল রিয়ালিটি প্রকল্পের জন্য ‘বেস্ট ইউজ অফ ডেটা’ বিভাগে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ২০২১ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের “টিম মহাকাশ” এবং ২০২২ সালে “টিম ডায়মন্ডস” বিশ্ব পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়েছিল। সম্প্রতি ২০২৩ সালে বাংলাদেশের “টিম ভয়েজার্স” ‘বেস্ট স্টোরিটেলিং’ বিভাগে বিজয়ী হয়েছে।
তথ্য সূত্রঃ observerbd
আরো পড়ুন: বিজ্ঞানীরা আর্কটিক সমুদ্রতলে রহস্যময় এক বরফের কাঠামো আবিষ্কার করেছেন