ভিভো সম্প্রতি তাদের এক্স২০০ ফ্ল্যাগশিপ সিরিজ চীনে লঞ্চ করেছে, এবং এই সিরিজটি খুব শীঘ্রই গ্লোবাল মার্কেটে আসতে পারে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই নতুন এক্স২০০ সিরিজের গ্লোবাল লঞ্চের বিষয়ে সম্প্রতি কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, যেখানে ভিভো মালয়েশিয়ার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি টিজার প্রকাশ করা হয়েছে। এই সিরিজে তিনটি মডেল রয়েছে – ভিভো এক্স২০০, এক্স২০০ প্রো, এবং এক্স২০০ প্রো মিনি। ভিভোর প্রকাশিত ছবিতে আমরা এক্স২০০ প্রো এবং সম্ভবত এক্স২০০ প্রো মিনি দেখতে পাচ্ছি, যেহেতু সবুজ রঙটি শুধু মিনি মডেলের জন্যই ছিল চীনে।
তবে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি কোন মডেলগুলো চীনের বাইরে গ্লোবাল মার্কেটে লঞ্চ হবে। মিনি মডেলটি গ্লোবাল রিলিজে থাকবে কি না সে ব্যাপারে কোনও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। এও সম্ভব যে, ভিভো গ্লোবাল মার্কেটে স্ট্যান্ডার্ড এক্স২০০ মডেলের জন্য সবুজ রঙের একটি সংস্করণ আনার পরিকল্পনা করছে। যাইহোক, এখনও কোনও নিশ্চিত তথ্য নেই, তাই ব্যবহারকারীদের উচিত অফিসিয়াল ঘোষণার অপেক্ষা করা।
লঞ্চের নির্দিষ্ট তারিখ এখনও প্রকাশ করা হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে যে এই সিরিজটি চলতি মাসের শেষের দিকে অথবা ডিসেম্বরের শুরুর দিকে গ্লোবাল মার্কেটে আসতে পারে। ভিভো এক্স২০০ সিরিজটি যারা নতুন একটি অ্যান্ড্রয়েড ফ্ল্যাগশিপ ফোনের সন্ধানে আছেন তাদের জন্য একটি আকর্ষণীয় পছন্দ হতে পারে, বিশেষ করে এর শক্তিশালী স্পেসিফিকেশন এবং ক্যামেরা সেটআপের কারণে।
আরও পড়ুনঃ নাথিং ফোন এর নতুন ডিজাইন গ্লো-ইন-দ্যা-ডার্ক
ভিভো এক্স২০০ সিরিজের হার্ডওয়্যারে রয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯৪০০ প্রসেসর, যা এর কার্যক্ষমতাকে যথেষ্ট শক্তিশালী করে তোলে। মিডিয়াটেকের এই নতুন প্রসেসরটি ব্যবহারকারীদের জন্য দ্রুত এবং মসৃণ অভিজ্ঞতা এনে দেয়। এটি হালকা কাজ থেকে শুরু করে ভারী কাজ, যেমন মাল্টিটাস্কিং এবং উচ্চমানের গেমিং-এর জন্যও ভালো পারফরমেন্স প্রদান করতে সক্ষম।
ক্যামেরা সেগমেন্টে ভিভো এক্স২০০ সিরিজ বেশ চমকপ্রদ। স্ট্যান্ডার্ড এক্স২০০ মডেলে তিনটি ৫০ মেগাপিক্সেল সেন্সর রয়েছে, যা স্বাভাবিক ব্যবহারকারীর জন্য ভালো মানের ছবি তোলার সুবিধা দেয়। অন্যদিকে, এক্স২০০ প্রো মডেলটি আরও উন্নত ফিচার নিয়ে আসে। এতে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা, ২০০ মেগাপিক্সেল টেলিফটো লেন্স এবং ৫০ মেগাপিক্সেল আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা রয়েছে, যা ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ সুযোগ প্রদান করে। যারা উচ্চমানের ফটোগ্রাফির প্রতি আগ্রহী, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ বিকল্প হতে পারে।
অপারেটিং সিস্টেমের দিক থেকে চীনে লঞ্চকৃত এক্স২০০ সিরিজে ব্যবহার করা হয়েছে ভিভোর অরিজিনওএস ৫, যেখানে গ্লোবাল সংস্করণে ব্যবহার করা হবে ফানটাচ ১৫ অপারেটিং সিস্টেম, যা অ্যান্ড্রয়েড ১৫ এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। ফানটাচ ওএসটি গ্লোবাল ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ এবং আরও ব্যবহারবান্ধব অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
ভিভো এক্স২০০ সিরিজের ডিজাইনেও কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন রয়েছে। চীনের বাজারে কিছু নির্দিষ্ট রঙের মডেল পাওয়া যাচ্ছে, যা গ্লোবাল মার্কেটেও পাওয়া যেতে পারে। তবে এতে কিছু ভিন্নতা থাকতে পারে। এ সিরিজের ফোনগুলোতে উন্নতমানের ডিসপ্লে, শক্তিশালী ব্যাটারি এবং উন্নত চার্জিং প্রযুক্তি রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন ব্যবহারে আরামদায়ক অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
এখনও পর্যন্ত গ্লোবাল লঞ্চের বিষয়ে কিছু বিষয় স্পষ্ট নয়। বিশেষত, এক্স২০০ প্রো মিনি মডেলটি গ্লোবাল রিলিজের অন্তর্ভুক্ত হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। এ কারণে যারা এই ফোনটি কেনার অপেক্ষায় আছেন তাদের উচিত অফিসিয়াল সোর্স থেকে আপডেট জানা। অনুমান বা গুজবে বিশ্বাস না করে স্পষ্ট তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা সবচেয়ে ভালো উপায়।
এই সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, ভিভো এক্স২০০ সিরিজটি গ্লোবাল লঞ্চের মাধ্যমে প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য নতুন একটি সুযোগ নিয়ে আসছে। এই সিরিজের ফোনগুলো উন্নত ক্যামেরা এবং শক্তিশালী হার্ডওয়্যারের কারণে ফটোগ্রাফি এবং মাল্টিটাস্কিং প্রেমীদের জন্য ভালো বিকল্প হতে পারে। যারা অ্যান্ড্রয়েড ফ্ল্যাগশিপ ফোনের খোঁজ করছেন, তাদের জন্য এই সিরিজের ফোনগুলো নজর রাখা উচিত।
Oppo Find X8 সিরিজটি শক্তিশালী হার্ডওয়্যার নিয়ে উন্মোচিত হয়েছে